স্ক্রিপ্টটা সময়িক ভাবে সরিয়ে নিচ্ছি......।
মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১১
গান
কাল জলে উছলা তলে ডুইবলো ছোনাতন,
আজ চার-আনা, কাল চার-আনা
পাই যে দরছন।
লদি ধারের চাষে বধু মিছাই কর আছ,
ঝিরি হিরি বাঁকা লদি বইছে বারোমাছ।
কাল জলে উছলা তলে ডুইবলো ছোনাতন,
আজ চার-আনা, কাল চার-আনা
পাই যে দরছন।
চিংড়ী মাছের ভিতর করা তাই ঢালেছি ঘি,
নিজের হাতে ভাব ছারেছি, ভাবলে হবে কি।
চালর চুলা, লম্বা কচা খুলি খুলি যায়,
দেখি তামের বিচে সোনা কার ঘরে ছামায়।
মেদিনি পুরের আয়না চিরন, বাকুরার ঐ ফিতা,
যতন করে বাঁধলি মাথা, তাও যে বাঁকা কি তা। (২)
তেজপাড়িয়া রাজকুমারি গলায় চন্দ্র হার,
দিনে দিনে বাইরছে তোমার চুলেরই বাহার।
কলি কলি ফুল ফুটেছে লিল কাল আর ছাদা,
কোঁড় ফুলেতে কিষ্ট আছেন কোঁড় ফুলেতে রাঁধা।
কাল জলে উছলা তলে ডুইবলো ছোনাতন,
আজ চার-আনা, কাল চার-আনা
পাই যে দরছন। (৩)
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১১
মহড়া
চলছে গাড়ী যাত্রাবাড়ীর মতোই চলছে বিছনের মহড়া। জানি না এর ভবিষ্যৎ কোন পথে এগুচ্ছে। সারাদিন NIMC তে TV Drama এর উপর class শেষ করে এসে সামান্য সময় হাতে থাকে। তারপর শরীর আর কথা শুনতে চায় না... তাই সবার দোয়া কাম্য।
শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১১
ক্ষত
বৃষ্টি আসছে যাচ্ছে । হঠাৎ বৃষ্টি থেমে যাচ্ছে আবার টিনের চালে গাছের ডালে ঝুমঝুমানি শব্দ করে দূরন্ত বেগে চলে আসছে, আসলে কি বৃষ্টির বিদ্যুতের সাথে সম্পর্ক আছে না কি! যখন ইচ্ছা আসবে আবার যখন ইচ্ছা যাবে! তবে টিনের ঘরের বারান্দায় বসে এগুলো আনুভব করাটার মজাই যেন আলাদা । ঠিক এরকমটাই অনুধাবন করছিল চুনি (রুপক নাম) ।সে যেন হারিয়ে গিয়েছিল তার অতীত অম্বলে। সেই যে কলেজে যাওয়া, কোন একজনের জন্য অপেক্ষা করা, কথা বলার জন্য ব্যাকুলতা, মনের আকুপাকু, মুখের জড়তা ভেঙ্গে ওঠা, অবশেষে দেখা হওয়া, বিদাই বেলাইয় আবার পরের দিনের ব্যাকুলতা পুষে চলা। বলছিলাম আমার এক বন্ধুর কথা। আমি এক দিন গিয়েছিলাম তার বাড়িতে, দেখি সে শুধু বিষন্ন মনে একাকিত্ত আনুভব করে। সে যেন অন্য জগতে পার্থিব জীবন থেকে আলাদা হয়ে, বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে নিজেকে গোছানোর চিন্তায় মগ্ন। সে আমার অনেক ভাল বন্ধু ছিল। কিন্তু হঠাৎ তার এ রকম পরিবর্তন আমকে ভাবিয়ে তুললো। আমি বুঝলাম হয়তো তার সাথে কোন মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তাই আমি কিছুদিন তাকে চোখে চোখে রাখার চেষ্টা করলাম। দেখি এ কি অবাক কান্ড! সে আসলেই কিছুটা ডিজহারটেড। সে আকাশ পানে চেয়ে থাকে উদাস মনে, অজানার সাথে কথা বলে, কথনো বা গভীর রাতে আকাশের তারার মেলায় সুন্দর সুশোভিত চাঁদের হাতছানি সে শুনতে পায়, বুঝতে পারে। আরো শুনতে পায় গভীর রাতের অবলুপ্ত প্রতিধ্বনি, বুঝতে পারে সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পশ্চিমা আকাশের প্রতিধ্বনি। নিজে কিছুদিন গবেষনা করার পর অবাক চোখে তার দিকে তাকালাম, এই বৃষ্টির আসা যাওয়া, ঘন বর্ষা অথবা প্রখর রৌদ্দুর, সব কিছুর মধ্যে যেন সে একটা অন্য জগতের নিমগ্ন চিত্তে আবদ্ধ। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ‘তোর কি হয়েছে?’ চিনু উত্তর দিলো ‘কই কিছু না তো’, বলে সে আবার আনমনা হয়ে গেল। তাই আমি আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করলাম না। কিন্তু কেন এতো সুন্দর, চঞ্চল, কর্মঠ, পড়শুনায় ভাল ছেলের এই পরিণতি। আমি জানতাম তার কারোর সাথে সম্পর্ক ছিলো, এখন আছে কিনা তা জানি না। আমি জিজ্ঞাসা করলেও বিষয়টা জানতে পারবো না। কেননা ও এখন একাকিত্তের চরম বন্ধু। তাহলে কি সত্যই ওই মেয়েটার সাথে চিনুর কোন সম্পর্ক ছিল? নাকি শুধুই বন্ধুত্ব? ভালবাসাতো বন্ধুত্বের এক চরম পরিনতি। আমি ওকে কিছুই বলিনি। পরে পুতির কাছে শুনলাম এই মাসেই ওর মা মারা গেছে। কথার ছলে চুনিকে একদিন বলি ‘আমি ভেবেছিলাম তুই কোন মেয়ের কথা ভাবিস’। ও মৃদু হেসে বলেছিল সেও তো এক নারী, যার স্তন পান করার সৌভাগ্যও হয়নি। অনেক দিন ওর কোন খোজ পাই না। জানি শরীরের ক্ষত সময়ের ব্যবধানে পূরন হয়। মনের ক্ষতও হয়ত তাই! কিন্তু ও মনের এই অভাবনিয় ভাবনাময় বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে কী? সব ক্ষত কি পুরন হয়?
বন্ধজানালা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)